পান ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণ ১৫ নভেম্বর বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস) অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পোকামাকড় ফসলের প্রধান সমস্যা। এদের আক্রমণ হতে রেহাই পেতে প্রয়োজন রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশক ব্যবহার। এতে ক্ষতিকর পোকা দমন হবে। উপকারি পোকা হবে সংরক্ষণ।ফলে পরিবেশ অনুকূলে থাকবে।সে সাথে ফসলও হবে নিরাপদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এবং বারি সদরদপ্তরের কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত। গেস্ট অব অনার ছিলেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএআরএস’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।
অনুষ্ঠানে মাদারীপুরের আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সালেহ উদ্দিন, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে বরিশালের উজিরপুর ও গৌরনদী এবং ঝালকাঠির নলছিটির ৩০ জন পানচাষি অংশগ্রহণ করেন।